শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী সন্তাকে দেখতে এসে শ্বাশুরীর হাতে শিকল বন্দী জামাই অতঃপর!

িইস্ত্রী ও সন্তানকে নিজ বাড়িতে নিতে চাওয়ার অপরাধে মেয়ের জামাই সজীব বেপারীকে শিকল দিয়ে বেঁধে মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২২ জুন) বিকালে এঘটনায় বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকা থেকে সজীবকে উদ্ধার এবং রহিমাকে আটক করে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।

সজীব এক বছর পূর্বে রহিমার মেয়ে বৃষ্টিকে বিয়ে করেন। সজীব বরিশালের মুলাদী উপজেলার মৃধার হাট গ্রামের কামাল বেপারীর ছেলে।

সজীব জানান, বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী বৃষ্টিকে আটকে রাখেন শাশুড়ি রহিমা বেগম। ইতিমধ্যে তাদের সংসারে একটি সন্তান আসে। এ কারণে বিভিন্ন সময় বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাইলে কোনোভাবেই অনুমতি দিতেন না রহিমা। এভাবে এক বছর কেটে যায়।

তিনি বলেন, সর্বশেষ শনিবার দুপুরে বৃষ্টি ও সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য কঠোরতা অবলম্বন করলে ক্ষুব্ধ হন আমার শাশুড়ি। আমিও জেদ ধরি এবার স্ত্রী সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে যাবোই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে আমাকে আটকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলেন। শিকল দিয়ে বেঁধে ফেললে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। আমার স্ত্রীও তার কাছে অসহায়। এ কারণে সেও কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ থাকে।

সজীব বলেন, এলাকাবাসী এ অবস্থা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার ও শাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের জামাইকে নির্যাতনের কারণে শাশুড়ি রহিমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।